Top Guidelines Of মাথা নোয়াবার নয়

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিজের রাজ্য ডেলাওয়ারে হ্যারিস জিতেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে থাকা আরেক রাজ্য নিউ জার্সিতেও হ্যারিস জিতেছেন।

২০২৩ সাল পর্যন্ত, ট্রাম্প ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ওই বছরের মার্চে ম্যানহাটনের একটি গ্র্যান্ড জুরি জালিয়াতির ৩৪টি অভিযোগে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে। যার ফলে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন।[১০] তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।[১১][১২] ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করার পর তিনি ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন।[১৩][১৪]

শপথ গ্রহণের আগে ট্রাম্প তার ব্যবসাগুলোকে একটি প্রত্যাহারযোগ্য ট্রাস্টে স্থানান্তর করেন,[১২১][১২২] কোনো ব্লাইন্ড ট্রাস্ট বা সমতুল্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, যা তার ব্যবসায়িক স্বার্থ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়।[১২৩] তিনি তার ব্যবসা থেকে লাভ করা অব্যাহত রাখেন এবং তার প্রশাসনের নীতিগুলো কীভাবে এসব ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে সে বিষয়ে সচেতন ছিলেন।[১২২][১২৪] যদিও তিনি বলেছিলেন যে তিনি "বিদেশী নতুন চুক্তি" এড়িয়ে চলবেন, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন স্কটল্যান্ড, দুবাই এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে।[১২২][১২৪] লবিস্ট, বিদেশী সরকারী কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের দাতা ও মিত্ররা তার রিসোর্ট ও হোটেলগুলোর জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার আয় তৈরি করে।[১২৫] ট্রাম্পকে গার্হস্থ্য ও বিদেশী এমোলুমেন্টস ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়, যা মার্কিন সংবিধানের অংশ এবং এই প্রথমবারের মতো এই ধারাগুলো নিয়ে বাস্তবিক মামলা লড়াই হয়।[১২৬] একটি মামলা নিম্ন আদালতে খারিজ হয়ে যায়।[১২৭] আরও দুটি মামলা তার মেয়াদ শেষে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট (যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট) দ্বারা অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করে বাতিল করা হয়।[১২৮]

ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।

ট্রাম্প পরিবারের কাছে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি তার বাবারই মালিকানাধীন সংস্থায় কোনও একটা ছোটখাটো কাজ করবেন বলে এককালে অনুমান করা হয়েছিল।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের অভিযোগগুলি রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের দ্বারাও খণ্ডন করা হয়,[২৪০] এবং সুপ্রিম কোর্ট বাইডেনের জয়ী চার রাজ্যের ফলাফল বাতিলের আবেদন শুনতে অস্বীকার করে।[২৪১] ট্রাম্প ফলাফল উলটাতে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেন, রিপাবলিকান স্থানীয় ও রাজ্য কর্মকর্তাদের,[২৪২] রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের,[২৪৩] জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট,[২৪৪] এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সকে[২৪৫] লক্ষ্য করে ইলেক্টর প্রতিস্থাপন, জর্জিয়া কর্মকর্তাদের ভোট "খুঁজে বের করতে" বা "পুনর্গণিত" ফল ঘোষণার অনুরোধের মতো পদক্ষেপ চাপ দেন।[২৪৩] নির্বাচন-পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড থেকে সরে যান।[২৪৬] তিনি প্রাথমিকভাবে বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা বন্ধ করেন।[২৪৭][২৪৮] তিন সপ্তাহ পর জিএসএ-র প্রশাসক বাইডেনকে নির্বাচনের "স্পষ্ট বিজয়ী" ঘোষণা করে ট্রানজিশন সম্পদ বরাদ্দের অনুমতি দেন।[২৪৯] ট্রাম্প দাবি করেন তিনি জিএসএকে ট্রানজিশন প্রক্রিয়া শুরু get more info করার পরামর্শ দিয়েছেন, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করেননি।[২৫০][২৫১] ২০ জানুয়ারি বাইডেনের শপথগ্রহণে ট্রাম্প উপস্থিত হননি।[২৫২]

মি. ট্রাম্প ছয়বার ব্যবসায় দেউলিয়া হয়েছেন বলে get more info দাবি করেছেন। ট্রাম্প স্টিকস এবং ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার বেশ কয়েকটা উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: গার্মেন্ট ব্যবসায় কী পরিবর্তন হয়েছে?

সাংবাদিক সম্মেলনে মি. ট্রাম্প জানান, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইবেন তিনি। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ ছিল তার নির্বাচনি প্রচারের মূল স্লোগান।

তার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টসহ এক ডজনেরও বেশি বিরোধীরা তাকে চ্যালেঞ্জ জানালেও বিতর্কের মঞ্চ এড়িয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিশানা করে ক্রমাগত সমালোচনা করতে থাকেন।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প এবং উপরাষ্ট্রপতি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ওভাল অফিস-এ বৈঠক করেন। সরাসরি সম্প্রচারিত এই বৈঠকটি অত্যন্ত বিতর্কিত ছিল কারণ ট্রাম্প এবং ভ্যান্স জেলেনস্কিকে তিরস্কার করেন। গণমাধ্যমগুলো এটিকে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং একজন বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান-এর মধ্যে অভূতপূর্ব প্রকাশ্য সংঘর্ষ হিসেবে বর্ণনা করে।[৩১৪][৩১৫]

আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল

যুক্তরাষ্ট্রে ভোটগণনার ক্ষেত্রে অনেকটা সময় লাগে। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ব্যবধান খুব কম হলে আবার গণনা হয়। ফলে তার জন্য সময় লাগে। তাই এই ভোটগণনায় সময় লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *